প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় গোয়েন্দা কুকুর অন্তঃসত্ত্বা, তদন্ত করবে বিএসএফ
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের (সীমান্তরক্ষী বাহিনী) একটি প্রশিক্ষিত গোয়েন্দা কুকুরের অপ্রত্যাশিত প্রজনন নিয়ে বাহিনীর মধ্যে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ল্যান্সি নামের এই স্নিফার ডগটি সম্প্রতি তিনটি কুকুরছানার জন্ম দিয়েছে, যা বাহিনীর নিয়ম ও প্রোটোকল অনুযায়ী অস্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
|আরো খবর
অপ্রত্যাশিত প্রজনন: ল্যান্সি নামের এই প্রশিক্ষিত কুকুরটি মেঘালয়ের বাঘমারা আউটপোস্টে মোতায়েন ছিল। সেখানে তার প্রজনন সংক্রান্ত কোনো অনুমতি ছিল না। তবুও, ৫ ডিসেম্বর সকালে সে তিনটি কুকুরছানার জন্ম দেয়।
নিয়ম লঙ্ঘন: সেনা, পুলিশ বা আধাসামরিক বাহিনীতে মোতায়েন করা প্রশিক্ষিত কুকুরদের প্রজনন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নিয়মাবলী রয়েছে। বাহিনীর পশুচিকিৎসা বিভাগের অনুমতি ছাড়া প্রজনন কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ল্যান্সির ক্ষেত্রে এই নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত কার্যক্রম:কোর্ট অব এনকোয়ারি: বিএসএফ কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কোর্ট অব এনকোয়ারি গঠন করেছে। ডেপুটি কমান্ড্যান্ট অজিত সিংকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে ল্যান্সির হ্যান্ডলারের ভূমিকা এবং কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত:নিয়ন্ত্রণের অভাব: বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনা বাহিনীর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতা নির্দেশ করে। প্রশিক্ষিত কুকুরদের প্রজনন নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট তথ্য:প্রশিক্ষিত কুকুরদের ভূমিকা: বিএসএফের মতো বাহিনীতে প্রশিক্ষিত কুকুররা মাদক, বিস্ফোরক এবং অন্যান্য অবৈধ সামগ্রী শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের প্রজনন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজরদারি রাখা হয় যাতে কর্মক্ষমতা বজায় থাকে।
উপসংহার:ল্যান্সির অপ্রত্যাশিত প্রজনন বিএসএফের অভ্যন্তরীণ নিয়মাবলীর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে বাহিনী আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।